অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জাপানে এতদিন ভেন্ডিং মেশিনে তিমির মাংস, শামুক বা ভোজ্য পোকামাকড় পাওয়া যেত। তবে এবার এর মেনুতে যোগ হয়েছে বন্য ভালুকের মাংস। আগ্রহী ব্যক্তিরা প্রতি ২৫০ গ্রাম মাংস ২২০০ ইয়েনের বিনিময়ে কিনতে পারবেন।
সোমবার (৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের সেম্বোকু শহরের একটি ভেন্ডিং মেশিন থেকে স্থানীয় কালো ভালুকের বিভিন্ন সাইজের মাংস বিক্রি করা হচ্ছে বলে একটি জাপানি দৈনিক পত্রিকায় বলা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, প্রায় ২২০০ ইয়েন বা ১৭ মার্কিন ডলার খরচ করে গ্রাহকরা প্রতি ২৫০ গ্রাম চর্বিযুক্ত বা চর্বিহীন মাংস কিনতে পারেন বলে মাইনিচি শিম্বুন রিপোর্ট করেছে। কেজি হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭ হাজার টাকারও বেশি।
এশিয়াটিক কালো ভালুককে আন্তর্জাতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। তবে জাপান বলছে, তারা এই ভালুক শিকারের সংখ্যা সীমিত করেছে।
উত্তরাঞ্চলীয় আকিতা প্রিফেকচারের সেম্বোকুতে সোবা গোরো রেস্তোরাঁর মাধ্যমে পরিচালিত ভেন্ডিং মেশিন থেকে সপ্তাহে ১০-১৫ প্যাক ভালুকের মাংস বিক্রি করা হয়ে থাকে। মূলত নিকটবর্তী পাহাড়ে স্থানীয় শিকারিরা যেসব ভালুক শিকার করেন, সেটির মাংসই এখানে বিক্রি করা হয়।
অবশ্য শিকারের মৌসুম শেষ হয়ে এলে এর স্টকও ফুরিয়ে যায়।
বিবিসি বলছে, জাপানে মাথাপিছু বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে। এসব ভেন্ডিং মেশিন ছোট ছোট গলিপথ থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত প্রায় সর্বত্রই অবস্থিত।
জাপানে এসব ভেন্ডিং মেশিন সাধারণত জিদোউ হানবাইকি বা জিহানকি নামে পরিচিত। গত শতাব্দীর ১৯৬০ এর দশকে এগুলো জাপানে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
জাপানে লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিকারিদের গুলি করে ভালুক হত্যার অনুমতি রয়েছে। তবে উপাদেয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হওয়া সত্ত্বেও টোকিওর প্রায় সব রেস্তোরাঁয় এই প্রাণীর মাংস পাওয়া যায় না।
যাইহোক, গত নভেম্বরে ভালুকের মাংস বিক্রির মেশিনটি ইনস্টল করা হয়। অপারেটররা বলছেন, মেশিন ইনস্টল করার পর থেকে টোকিওর পার্শ্ববর্তী কান্টো অঞ্চল থেকেও ভালুকের মাংসের খোঁজ করা হচ্ছে।
সোবা গোরোর এক প্রতিনিধি মাইনিচি শিম্বুনকে বলেন, ‘(ভালুকের) মাংসের স্বাদ ভালো এবং এটি ঠাণ্ডা হলেও শক্ত হয় না। এই মাংস দিয়ে স্টু থেকে স্টেক পর্যন্ত প্রায় সব খাবারই তৈরি করা যায়।’
Leave a Reply